মহামূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ আজ হুমকির মুখে!

মহামূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ আজ হুমকির মুখে!
হারিয়ে যেতে বসেছে মধ্যযুগের সুলতানী শাসনামালের নদী বন্দর কেন্দ্রীক বিখ্যাত বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক শহর মুহাম্মদাবাদের কাঠামোর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
শহর মুহাম্মদাবাদ পরিত্যক্ত হয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলে, দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মাটির ঢিবির নীচে চাপা ছিল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলি।
এলাকার কিছু সচেতন ব্যক্তির কারণে 1992-93 সালে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ খনন কার্য চালিয়ে আবিষ্কার করেছেন মুহাম্মদাবাদের কাঠামোর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
এখানে আবিস্কৃত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু গুলো সংরক্ষণ করে একটা জাদুঘর প্রতিষ্ঠা না করে, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কিছু মসজিদের সংস্কার সাধন করে ফেলে রেখেছেন তাদের সমস্ত কর্মকান্ড।
এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের নেই কোন অফিস!
লোক বলতে বিশাল এলাকার জন্য আছেন মাত্র এক জন ব্যক্তি।
গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে জানার কোন সুযোগ নেই কোন পর্যটকদের।
প্রায় 5/6 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত শহর মুহাম্মদাবাদের সতেরটির বেশী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিস্কৃত হয়েছে।
এছাড়া খনন বাকী আছে এমন প্রত্নতাত্ত্বিক ঢিবিও রয়েছে বেশ কয়েকটি ।
ইতিমধ্যে মানুষের লোভের শিকার হয়ে হারিয়ে গেছে শাহ সিকান্দরের রাজ ভবন, সানাইদার মসজিদ ও বৃহত্তর আকারের সওদাগর মসজিদ।
প্রাচীন ইতিহাসের ছাপাই নগর খ্যাত বারোবাজারের বাদুরগাছা গ্রামের সাথে যুক্ত।
গাজী, কালু ও চম্পাবতির উপাখ্যান কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মুকুট রাজার কাহিনী।
শ্রীরাম রাজা,হযরত খান জাহান আলীর স্মৃতির পূণ্যভূমি আজকের এই বারোবাজারের মাটি।
বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সহ সরকারী উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বারোবাজার এলাকায় একটি পর্যটনকেন্দ্র ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ব্যাবস্থা করুন।
তাহলে বারোবাজার এলাকার জনসাধারণের যেমন জীবন যাত্রা পাল্টে যাবে, অন্যদিকে সরকার ও লাভবান হবেন।
প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে সরকার প্রতিদিন প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবেন।






Comments :

Post a Comment